Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা

কর্ম-পরিকল্পনা (Action Plan)

 প্রত্যাশাঃ

উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ, অবকাঠামোর প্রসারণ, আধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনা ও নিষ্কাশন সুযোগ সৃষ্টি, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন, উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য হ্রাস এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যাশা। যেখানে জনসাধারণ স্বচ্ছলভাবে, নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে এবং ইউনিয়নের সকল এলাকার জনগণ অবাধ যাতায়াত ও যোগাযোগ গ্রহণে সক্ষম হবে।

(পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্যঃ

আমরা জানি বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে দিনযাপন করছে। জীবনের মৌলিক সুযোগ-সুবিধায় এদের প্রবেশাধিকার সীমিত। ইউনিয়ন পরিষদের জনসাধারণের অবস্থাও সারা দেশের জনসাধারণের অবস্থা হতে ভিনণতর নয়। অত্র এলাকার জনগণের দারিদ্র্য হ্রাসকরণের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব সম্পদ এবং সরকারীভাবে ইউনিয়ন পরিষদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ জনগণের চাহিদা অনুসারে এবং প্রাধিকারের ভিত্তিতে সমন্বিত উপায়ে ব্যবহারের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস করা। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপঃ

·        জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও পরিষদের দক্ষতা বৃদ্ধি সাধন;

·        সর্বস্তরের জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ইউনিয়নের পরিকল্পিত উন্নয়ন সাধন;

·        আপামর জনগণের চাহিদা মোতাবেক সেবা সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জাতিগঠনমূলক প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের অংশীদারীত্ব সৃষ্টি করা;

·        পরিকল্পিত সেবা ও সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে এলাকার সেচ ব্যবস্থাপনা, নিষ্কাশন, শস্য, প্রাণীজ সম্পদ, মৎস্য ইত্যাদির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা;

·        উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের সুযোগ সৃজন এবং তা’ গ্রহণে এলাকার জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি; এবং

·        প্রতিটি ইউনিয়নের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ইউনিয়নের সাথে অন্য ইউনিয়ন পরিষদের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।

পরিকল্পনা প্রণয়নপ্রক্রিয়া কৌশল:

পরিকল্পনাপ্রণয়নপ্রক্রিয়ায় কতকগুলো ধাপ অনুসরন করা হয়েছে। যার মধদিয়ে রামপাল ইউনিয়ন পরিষদে প্রথমবারের মতো একটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বই প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছে।

   প্রথমত: ইউনিয়ন পরিষদ সভার অনুমোদন সাপেক্ষেপঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য পরিষদ সদস্য ওদক্ষসরকারী কর্মকর্তা নিয়ে একটি পরিকল্পনাসমন্বয়কমিটি গঠন করাহয়েছে।

  দ্বিতীয়ত:পরিকল্পনা সমন্বয়কমিটিসম্পদের উৎস এবং অর্থ প্রবাহ পর্যালোচনা  করেছে।পরবর্তীতে এই কমিটি ইউপি সচিব, পরিষদে ন্যাস্ত বিভিন্ন দপ্তরের   কর্মকর্তাবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিসমূহের পরামর্শ নিয়ে একটি সম্পদের চিত্র তৈরি করা করেছে; যা পরবর্তীতে পরিষদের খসড়া সমন্বিত পরিকল্পনা এবং সম্ভাব্য বাজেট তৈরি করতে সহায়তা করছে।

 তৃতীয়ত: ইউনিয়নপরিষদ ষ্ট্যান্ডিং কমিটি সক্রিয়ওসরকারী জনবলকে দায়িত্বশীল করে ওয়ার্ডসভার মাধ্যমে খাতভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও চাহিদা নিরূপণকরা হয়েছে। অতপর: পরিকল্পনা সমন্বয় কমিটি স্থায়ী কমিটির নিকট থেকে চাহিদা/প্রস্তাবনা সংগ্রহ ওপরিকল্পনা গ্রহণ এবং সেগুলো নিয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।

 চতুর্থত:পরিকল্পনাকমিটি বিস্তারিত আলোচনার জন্য খসড়া পরিকল্পনাটি পরিষদ সভায় উপস্থাপন করেছে। অতপর: ইউনিয়ন পরিষদ খসড়া পরিকল্পনাটি নিয়ে ৯টি ওয়ার্ডে পুনরায় আলোচনা করার জন্য ওয়ার্ডসভাআহবান করেছেন। ওয়ার্ডসভায় অংশগ্রহণকারীগণ খসড়া পরিকল্পনাটি শুনেছেন এবং পুনরায় তাদের মতামত জানিয়েছেন। সবশেষে পরিষদ পরিকল্পনাটি চুড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করছেন।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট  প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। ইউনিয়ন পরিষদের সভায় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট জাতিগঠনমূলক প্রতিষ্ঠান প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর ফলশ্রুতিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্প গ্রহণের পরিবর্তে আন্তঃ ওয়ার্ড উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সম্পদ  ও এর উৎসঃ 

ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সকল উৎস হতে সম্পদ আহরণ করা হবে তা নিমরূপঃ

  1.  ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (LGSP);
  2. রাজস্ব উদ্বৃত্ত;
  3. ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হাস্তান্তরিত বিভিন্ন বিভাগের কর্মসূচি/বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ;
  4. প্রাধিকারপূর্ণ কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গের অনুদান হতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা সৃষ্ট তহবিল।
  5. ভুমি উন্নয়ন কর ১%
  6. কাবিখা, কাবিটা, ইত্যাদি
  7. দাতা সংস্থা
  8. বেসরকারী সংস্থা

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সীমাবদ্ধতাঃ

ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হিসেবে এ পরিকল্পনার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এগুলো নিম্নরূপ: ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন সেক্টরের তথ্যর ঘাটতি রয়েছে বিধায় সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা কষ্টকর। ইউনিয়ন পর্যায়ে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কোন রূপরেখা না থাকার ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের মনে সংশয় পরিলক্ষিত হয়েছে। এ কারনে পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় বেশী ব্যয় হয়েছে। এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল সরকারী কর্মকর্তাদের পরিষদে পরিপুর্ণ হাস্তান্তরিত না হওয়ায়  সুক্ষ্মভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আকার ও সেক্টর ভিত্তিক বিভাজন

বিবরন

  ২০১৫-২০১৬

লক্ষ টাকায়

 ২০১৬-২০১৭

লক্ষ টাকায়

২০১৭-২০১৮

লক্ষ টাকায়

২০১৮-২০১৯

লক্ষ টাকায়

২০১৯-২০২০

লক্ষ টাকায়

মোট ব্যয়

২০২০-২০২১

লক্ষ টাকায়

রাজস্ব ব্যয়

১৬.০০  লক্ষ

১৬.০০ লক্ষ

১৬.৫০ লক্ষ

১৫.৫০ লক্ষ

১৬.২৫ লক্ষ

৮০.২৫ লক্ষ

উন্নয়ন ব্যয়

৬৩.৪০ লক্ষ

৬৩.২৫ লক্ষ

৬৩.৩৫ লক্ষ

৬৩.২৫ লক্ষ

৬৩.১০ লক্ষ

৩১৬.৩৫ লক্ষ

সর্ব মোট (রাজস্ব ও উন্নয়ন) ব্যয়

৮০.২৫+৩১৬.৩৫ = ৩৯৬.৬০ লক্ষ তিন কোটি সাতানববই লক্ষ টাকা

সেক্টর ভিত্তিক বিভাজন

ক্রমিক নং

সেক্টরের নাম

বরাদ্ধ

লক্ষ টাকায়

মোট উন্নয়ন ব্যয়ের

২০১৫-২০১৬

শতকরা হার

শিক্ষা  উন্নয়ন

৭.০০

১.৭১%

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ

১১.৫০

২.৮৩%

নিরাদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা

১২.১০

২.৯৮%

কৃষি ব্যবস্থা

৪.৫০

১.১১%

প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন

৩.০০

০.৭৪%

মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন

২.৫০

০.৬১%

 খেলাধুলা ও সংস্কৃতি

৪.০০

০.৯৮%

পরিবেশ উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপন

৩.৫০

০.৮৬%

পারিবারিক বিরোধ নিরোসন

১.৫০

০.৩৭%

১০

 যোগাযোগ বা অবকাঠামো উন্নয়ন

৩৪১.২৫

৮৩.৯০%

১১

জীবন-জীবিকা উন্নয়ন পরিকল্পনা

১০.৫০

২.৫৮%

১২

সুশাসন ও বিবিধ

৫.৪০

১.৩৩%

 

মোট

৪০৬.৭৫

১০০%

 

ইউনিয়নের সামাজিক অবস্থা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা:

ক. শিক্ষা উন্নয়ন:

জাতীয় অগ্রগতি এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার গুরম্নত্ব অপরিসীম। একটি উন্নত, দক্ষও সচেতন জাতিগঠনে যে সুশিক্ষিত ও সুনাগরিক তৈরী করা দরকার তার মূলভিত্তি হচ্ছে মানসম্পন্ন  শিক্ষা। যা অর্জনের জন্য ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  ও শিক্ষকগণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সেইসাথে সরকারের উপবৃত্তি কর্মসূচি, মানসম্পন্ন্ শিক্ষক নিয়োগ, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, নিরাপদ অবকাঠামো নির্মাণ, ও প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প কার্যক্রমও যথারীতি বাসত্মবায়ন হচ্ছে। কার্যকর এসএমসি গঠন, প্রধান শিক্ষকগণকে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পাদিত হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করনে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান, অভিভাবক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাথে সমন্বয় সাধনের বিষয় গুলিকে বিশেষ গুরম্নত্ব দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। 

সারণি-১:ইউনিয়নের শিক্ষা বিষয়কবর্তমান অবন্থা

তথ্যাদি

সংখ্যা

মমত্মব্য

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

১০ টি

 

 রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়

১ টি

 

এবতেদায়ী মাদ্রাসা

৬ টি

 

উচ্চ বিদ্যালয়

৩ টি

 

ফাজিল মাদ্রাসা

১ টি

 

দাখিল মাদ্রাসা

১ টি

 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার

১০০%

 

বিদ্যালয়ে উপস্থিতি

%

 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়ার হার

০%

 

প্রাথমিকউপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে

১৪৭৩ জন

 

মাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে

৪৯২ জন

 

তথ্য সূত্র : ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা শিক্ষা অফিস

সারণি-২: ২০১৫-২০২১ সময়ে বাগুলাট ইউনিয়নের শিক্ষা উন্নয়নের পরিকল্পনা

গৃহীতব্য কার্যক্রম

কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্য

কে কাজটি করবে

অর্থের উৎস

কখন করা হবে

সম্ভাব্য খরচ

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা

বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাপনার  উন্নয়ন সাধন

 

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি (SMC)ও ইউনিয়ন পরিষদের সংশিস্নষ্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি

SMC, ইউনিয়ন পরিষদ ও

উপজেলা পরিষদ

২০১৫-২০২১

প্রতি  বছরে ৩ টি

.৫০

 

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন /পূনঃ গঠন

বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সক্রিয় করণ

 

ইউনিয়ন পরিষদের সংশিস্নষ্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি ওস্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদ

 

২০১৫-২০২১

১ বছর পরপর

 

.৫০

প্রাইমারি শিক্ষা বৃত্তি প্রদান

শিক্ষা গ্রহনে উৎসাহ প্রদান

 

প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ

কেন্দ্রীয় সরকার ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ

২০১৫-২০২১

বছরে ১ বার

১.০০

অবিভাবক সমাবেশ

সচেতনতা বৃদ্ধি

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি,ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটি

ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

    ২০১৫-২০২১

বছরে ২ টি

.৭৫

বাৎসরিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিকমান বাড়ানো

সংশ্লিষ্ট স্কুল

ইউনিয়ন পরিষদ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

২০১৫-২০২১

বছরে ১ টি

.৭৫

গনশিক্ষা / বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম

স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো

ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটি

কেন্দ্রীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ও বেসরকারি সংস্থা

২০১৫-২০২১

প্রত্যেক ওয়ার্ডে

পাঠদান

.৫০

দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে পোশাক ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ

দরিদ্র শিশুদের স্কুলগামী করতে উৎসাহ প্রদান

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ

২০১৫-২০২১

প্রত্যেক স্কুলে

.৫০

স্কুলে আসবাব পত্র প্রদান

পাঠদান ও পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে হবে।

কেন্দ্রীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ

২০১৫-২০২১

অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রাইমারি স্কুলে

২.৫০

ওয়ার্ডভিত্তিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাা কমিটি গঠন ও কার্যকর করা

শিশুদের স্কুলমুখী করা

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি, সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে

ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ

২০১৫-২০২১

বছরে ২ টি

-

                                                                                                                           =৭.০০ (লক্ষ টাকা)

খ.স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ:

স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সরকারের একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সংবিধানে বলা হয়েছে ‘‘রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধি সাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্ত্তগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতি সাধন যাতে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্জন নিশ্চিত করা যায়ঃ (ক) অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারনের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা।’’ বাংলাদেশ সরকার এই লক্ষ্য অর্জনে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা জোরদার করণে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনিয়োগ করে আসছে। আর এক্ষেত্রে পল্লী অঞ্চলে বসবাসকারী বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। সরকার কর্তৃক পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের ফলে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার পূর্বের তুলনায় হ্রাস পেলেও দরিদ্র জনগণের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখনও বেশী। বাংলাদেশের জনগণের গড় আয়ুস্কাল পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখনও বেশী।  জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস করতে না পারলে বিরাট একটি জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও অন্যান্য চাহিদা মিটানো কঠিন হয়ে পড়বে।

সারণি-৩:ইউনিয়নের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনাবিষয়ক বর্তমান অবন্থা

তথ্যাদি

সংখ্যা

মন্তব্য

পরিবার-কল্যাণ কেন্দ্র

৩ টি

 

কমিউনিটি ক্লিনিক

২ টি

 

শিশু মৃত্যুর হার

১০০০ জনে  ৫ জন

 

জন্ম নিয়নত্রণের উপকরণ বিতরণ

আছে

 

জন্ম নিয়নত্রণ গ্রহণকারীর হার

শতকরা ৮০.৭৯

 

টীকাদান কর্মসূচি

শতকরা ৮০.৭৯

 

তথ্য সূত্র : ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর        

সারণি-৪: ২০১৫-২০২১ সময়ে বাগুলাট ইউনিয়নের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা উন্নয়নের পরিকল্পনা

গৃহীতব্য কার্যক্রম

কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্য

কে কাজটি করবে

অর্থের উৎস

কখন

করা হবে

সম্ভাব্য খরচ

(লক্ষ টাকায়)

পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা প্রচার অভিযান

সুন্দর স্বাস্থ্যাভাস গড়ে তুলবার জন্য

স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় জনগন

ইউপি ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ

২০১৫- ২০২১

প্রত্যেক মাসে

২.৫০

স্বাস্থ্য অভ্যাস অনুশীলন

সুন্দর স্বাস্থ্যাভাস গড়ে তুলবার জন  

স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

স্বাস্থ্য বিভাগ, ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ

২০১৫-২০২১

প্রত্যেক মাসে

১.৫০

স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার

প্রচারাভিযান 

রোগমুক্ত ও সুস্থ্য জীবন যাপনের জন্য

স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

ইউনিয়ন পরিষদ ও স্বাস্থ্য বিভাগ

২০১৫-২০২১

বছরে ৪ টি

১.২৫

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

পরিবেশ ভাল রাখার জন্য

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও স্বাস্থ্য বিভাগ

 ইউপি, জনস্বহাস্থ্য বিভাগ ও এনজিও

২০১৫-২০২১

বছরে ৪ টি

১.০

নিয়মিত গর্ভবতী মায়েদের পরিচর্যা

  প্রচারাভিযান 

শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমানো

স্বাস্থ্য বিভাগ, এনজিও

স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

২০১৫-২০২১

নিয়মিত

 

১.৭৫

বাচ্চার ওজন বা পরিমাপ করা

অপুষ্টি থেকে রক্ষা ও শিশুর দৈহিক গঠন ঠিক রাখার জন্য

স্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

স্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

২০১৫-২০২১

নিয়মিত

১.৫০

ডি ওয়ার্মিং ক্যাম্পেইন

কৃমি প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি

স্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

স্বাস্থ্য বিভাগ

২০১৫-২০২১

বছরে ২ বার

---

যক্ষা বিষয়ক প্রচারাভিযান

যক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি

স্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

স্বাস্থ্য বিভাগ

২০১৫-২০২১

বছরে ২ বার

----

টিকা ভিটামিন ক্যাপসুল বিষয়ক ক্যাম্পেইন

অপুষ্টি থেকে রক্ষা

স্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা পরিষদ

২০১৫-২০২১

প্রতি মাসে ক্যাম্পেইন

-----

দক্ষদাই, ধাত্রী মাতা প্রশিক্ষণ

শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমানো

স্বাস্থ্য  পরিবার কল্যাণ বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

স্বাস্থ্য  পরিবার কল্যাণ বিভাগ

২০১৫-২০২১

বছরে ১ টি

১.২৫

ইমাম/কাজীদের নিয়ে বৈঠক

ধর্ম ও আইন বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণদের সচেতনতার জন্য

 ইউনিয়ন পরিষদ

ইউনিয়ন পরিষদ,পরিবার কল্যাণ বিভাগ

২০১৫-২০২১

বছরে ২ টি

.৫০

মোট

 

 

 

 

১১.৫ (লক্ষ)

 

গ.নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানাঃ

নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে না পারলে জনস্বাস্থ্য সবসময় হুমকির সম্মুখিন হয়। একইভাবে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার নিশ্চিত করার গুরুত্ব ও সমানভাবে বিবেচ্য। ইউনিয়নের জনগণকে পানের জন্য সুপেয় পানি, গোসল ও অন্যান্য ব্যবহারের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ করার জন্য সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ ও সুযোগ তৈরী করে দেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উল্লেখিত কার্যক্রম পরিচালনায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জনগোষ্ঠীকে আর্সেনিকমুক্ত নলকুপ এবং রিং স্লাব উৎপাদন ও বিতরণ করবে। নলকুপ নষ্ট হলে মেরামতে সহায়তা প্রদান করবে। জনগণের ব্যবহৃত টিউবওয়েলে আর্সেনিকের অবস্থা পরীক্ষাকরার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।

সারণি-৫:ইউনিয়নের বিষয়কনিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানারবর্তমান অবন্থা

তথ্যাদি

সংখ্যা

মমত্মব্য

খানা

৫৮০০ টি

 

মসজিদ

৫৪ টি

 

মন্দির

১ টি

 

হাট-বাজার

৩ টি

 

বাস/টেম্পু/রিক্সা ষ্টানড

৩ টি

 

সামাজিক প্রতিষ্ঠান (ক্লাব/সমিমিতি, ইত্যাদি)

৫ টি

 

স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন

৩১৪৪টি

 

নলকুপের সংখ্যা (গভীর)

৪২টি

 

হস্ত চালিত নলকুপ(গভীর)

 টি

 

নলকুপের সংখ্যা (অগভীর)

২৯৫ টি

 

তথ্য সূত্র : ইউনিয়ন পরিষদ

সারণি-৬: ২০১৫-২০১২১ সময়ে বাগুলাট ইউনিয়নের নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা উন্নয়নের পরিকল্পনা

২০১৫-২০২১

গৃহীতব্য কার্যক্রম

কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্য

 কে কাজটি করবে

অর্থের উৎস

কখন

করা হবে

সম্ভাব্য খরচ

(লক্ষ টাকায়)

নিরাপদ পানি পান ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে পাড়াভিত্তিক প্রচারাভিযান পরিচালনা

সুন্দর স্বাস্থ্যাভাস গড়ে তুলবার জন্য

জনস্বাস্থ্য বিভাগ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

ইউনিয়ন পরিষদ, জনস্বাস্থ্য বিভাগ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

২০১৫-২০২১

প্রত্যেক মাসে

.৫০

অকেজো নলকুপগুলো সচল করা

নিরাপদ পানি পান করবার জন্য

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি

ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ

ইউনিয়ন পরিষদ, জনস্বাস্থ্য বিভাগ

২০১৫-২০২১

.৫০

সকল নলকুপের আর্সেনিক পরীক্ষাকরা

নিরাপদ পানি পান করবার জন্য

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি

ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ

ইউনিয়ন পরিষদ, জনস্বাস্থ্য বিভাগ

.৬০

অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নলকুপ স্থাপন

নিরাপদ পানি পান করবার জন্য

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি

ও স্থানীয় জনগণ

ইউনিয়ন পরিষদ, জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় জনগণ

২০১৫-২০২১

২.০০

নলকুপ সচল রাখতে নিয়মিত পরযবেক্ষন

নিরাপদ পানি পান করবার জন্য

জনস্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও জনগণ

ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজো পরিষদ এবং জনস্বাস্থ্য বিভাগ

২০১৫-২০২১

বছরব্যাপী

.৫০

প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক (হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির) নলকুপ স্থাপন

 

জনস্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি সংস্থা

ইউনিয়ন পরিষদ ও এবং জনস্বাস্থ্য বিভাগ

২০১৫-২০২১

.৫০

স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন

 

 

স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধিপ্রচারাভিযান

স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি

ইউনিয়ন পরিষদ, জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও এনজিও

ইউপি, জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও এনজিও

২০১৫-২০২১

পাড়াভিত্তিক

বছরে ৩ বার

.৫০

স্বল্পমূল্যের স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের প্রযুক্তি প্রদর্শণী

স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি

সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ও এনজিও

জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও এনজিও

২০১৫-২০২১

বছরে ১ টি

.৫০

পাড়া ভিত্তিক ল্যাট্রিন স্থাপন

স্বাস্থ্যসম্মত জীবন অভ্যাস গড়ে তোলা

সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তর ও  এনজিও

ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ জনস্বাস্থ্য বিভাগ

২০১৫-২০২১

(প্রয়োজন মত)

১.০০

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন নিশ্চিতকরণ

ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যাভাস গড়ে তোলা

সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট স্কুল

ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি দপ্তর, সংশ্লিষ্ট স্কুল

২০১৫-২০২১

(প্রয়োজন মত)

২.০০

বাজার, রাস্তার মোড় এবং মসজিদ-মন্দির ভিত্তিক ল্যাট্রিন স্থাপন

জনগনের স্বাস্থ্যাভাস ও সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা।

সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ও দাতা সংস্থা

ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি দপ্তর

২০১৫-২০২১

(প্রয়োজন মত)

২.০০

স্বামর্থ্যহীনদের বিনামূল্যে ল্যাট্রিন প্রদান

বিত্তহীনদের স্বাস্থ্যাভাস উদ্ধুদ্ধ করা।

জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদ

ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারী দপ্তর

২০১৫-২০২১

 

১.০০

ল্যাট্রিন ব্যবহার ও সু অভ্যাস নিশ্চিত করতে পাড়াভিত্তিক প্রচারাভিযান পরিচারনা

স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা

সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ও এনজিও

ইউনিয়ন পরিষদ, সরকার ও এনজিও

২০১৫-২০২১

(প্রত্যেক পাড়ায় ১টি করে কর্মশালা)

.৫০

মোট

 

 

 

 

১২.১০ (লক্ষ)

               

 

 ঘ. ইউনিয়নের কৃষি ব্যবস্থা

আশির দশক হতে বাগুলাট ইউনিয়নের কৃষকগণ রাসয়নিক সার হিসেবে শুধু ইউরিয়া ব্যবহার করত। বর্তমানে ব্যাপক প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে কৃষকগণকে সুষম সার ব্যবহারে অভ্যস্থ করা হয়েছে। ফলে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ফসল উৎপাদন আশানুরূপ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ধিত জনগণের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হলে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা এবং প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। শস্যের উৎপাদনশীলতা ত্বরান্বিত করে এলাকার খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং দেশের খাদ্য ঘাটতি এলাকাসমূহে উদ্বৃত্ত খাদ্য সরবরাহ করা এ সেক্টরের উন্নয়নের মূল লক্ষ্য ।

এছাড়া কৃষকদের শস্য বহুমুখীকরণে উৎসাহিত করার জন্য এলাকার সম্ভাব্যতা অনুসারে কৃষকদের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। উন্নত বীজ সংরক্ষণের প্রশিক্ষণ এবং মাটির ধরণ অনুযায়ী শষ্য বিন্যাসে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা এবং ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ (সার, কীটনাশক, বীজ) সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। সেচ মৌসুমে কৃষকরা যাতে সেচ প্রদান অব্যাহত রাখতে পারে তার জন্য বিদ্যুৎ ও ডিজেল এর সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরিবীক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা হবে, কৃষি জমির জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পায় যে ক্ষেত্রে সরকারী উদ্যোগে ধান সংগ্রহ অভিযান কার্যকরভাবে পরিচালনা করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এলাকার এক ও দু-ফসলী জমিকে তিন-ফসলী জমিতে রূপান্তর করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া সেচের জন্য গভীর নলকুপের নির্ভরতা কমানোর জন্য ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে। কৃষি কাজে বিপণন সহায়তায় প্রতিটি গ্রামের সাথে গ্রোথ সেন্টার এর রাস্তাঘাট উন্নয়নের প্রচেষ্টা নেয়া হবে।

সারণি-৭: ইউনিয়নের কৃষির বর্তমান অবন্থা

তথ্যাদি

আয়তন/পরিমান

(হেক্টর)

ফসলের ধরন

মন্তব্য

মোট আবাদী জমি

৪৫০০ একর

ধান, আলু, গম, পাট, রসুন, হলুদ, সরিষা রসুন, হলুদ, বেগুন, মরিচ, করলা

 

জলাশয়

১০২ হেক্টর

-

 

বাগান

 

-

 

বসতভিটা

২৫৮ হেক্টর

-

 

রাস্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

৬০ হেক্টর

-

 

 মোট খাদ্য চাহিদা (বছরে)

৪০.৪৫৯ মেট্রিক টন

 

 

খাদ্য উৎপাদন

২১৫মেট্রিক টন

-

 

খাদ্য ঘাটতি

৪০২৪৪ মেট্রিক টন

-

 

উচুঁ জমি,

২০৬.৫৯ হেক্টর

সবজি, পান, কলা, হলুদ, আদা

 

মাঝারী উচুঁ জমি

২৫৪  হেক্টর

আলু, আঁখ, সবজি, গম, সরিষা, পাট

 

মাঝারী নিচু জমি

১৭০ হেক্টর

আলু, সবজি, বরো, পাট, সরিষা, গম

 

এক ফসলী জমি

১৫০০ একর

 

 

বরো, আলু, সবজি, গম, সরিষা, হলুদ, আদা, পাট,

 

 

দুই ফসলী  জমি

৩০০০ একর

 

তিন ফসলী জমি

১৪৭ হেক্টর

 

চার ফসলী জমি

১৬ হেক্টর

 

কৃষি  ব্লক

০২ টি

-

 

কৃষি পরিবার

২১৪০ টি

-

 

প্রান্তিক পরিবার

১০৯৭ টি

-

 

ভূমিহীন পরিবার

৬৮৫ টি

-

 

সেচ যন্ত্র

 

-

 

গভীর নলকুপ

৪২টি

-

 

অগভীর নলকুপ-ডিজেল

 

-

 

পাওয়ার পাম্প

 

-

 

অগভীর -বিদ্যুৎ

 

-

বাজেটের উৎস: ইউনিয়ন পরিষদ

অন্যান্য

২৮

২৮

সেচকৃত জমি: ৫০ হেক্টর

মোট

২৮

২৮

সেচকৃত জমি: ৫০ হেক্টর

তথ্য সূত্র : ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর

সারণি-৮: ২০১৫-২০২১ সময়ে বাগুলাট ইউনিয়নেরকৃষিউন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

গৃহীতব্য কার্যক্রম

কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্য

কে কাজটি করবে

অর্থের উৎস

কখন করা হবে

সম্ভাব্য খরচ

প্রদর্শণী  প্লট স্থাপন

ফসল উৎপাদনের কলাকৌশল দেখানো

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহায়তায় চাষীরা নিজেরাই করবে

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দাতা সংস্থা ও এনজিও

(২০১৫-২০২১)

(প্রত্যেক বছরে ১টি করে ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রদর্শনী)

১.৫০

জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার

মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষা করা

চাষীরা নিজেরাই করবে

কৃষক নিজেরা

আমন ও বরো ফসলে।

১.৫০

উন্নতমানের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষন ও উপকরণ বিতরণ

মান সম্মত বীজ বপন ও সংরক্ষন করা

কৃষি বিভাগ ও কৃষক নিজেরাই করবে

কৃষকদের নিজেদের উদ্যোগে

(২০১৫-২০২১)

১.৫০

আই পি এম; আই সি এম

আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার প্রবর্তন করা

জিও

জিও

(২০১৫-২০২১)

(প্রয়োজন মতে)

 

মোট

 

 

 

 

৪.৫০ (লক্ষ)

 

ঙ. প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন:                                         

জনগণকে গবাদিপ্রাণী ও হাঁস-মুরগির টিকা প্রদান, চিকিৎসা কার্যক্রম, গবাদিপ্রাণী ও হাঁস-মুরগির খামার স্থাপনের পরামর্শ, উন্নত জাতের ঘাস উৎপাদনে ঘাসের বীজ ও কাটিং সরবরাহ, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমের মাধ্যমে গরম্নর জাত উন্নয়ন, গবাদি প্রাণি ও হাঁস-মুরগি পালনে আত্ন-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্প ও ক্ষুদ্রঋণের আওতায় গরীব ও অস্বচ্ছল পরিবারের মধ্যে ঋণ বিতরণ এবং গবাদিপ্রাণী ও হাঁস-মুরগিপালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান কাজে নিয়োজিত রয়েছে। প্রাণীসম্পদ সেক্টর উন্নয়নের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে উন্নত প্রজাতির গবাদিপ্রাণি ও হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দুধ, মাংস, ডিম উৎপাদন ও চামড়া ও সরবরাহ বৃদ্ধি করা।

সারণি-৯:ইউনিয়নেরপ্রাণীসম্পদ  বিষয়কবর্তমান অবস্থা

তথ্যাদি

সংখ্যা

মমত্মব্য

গরু

৬৭০০ টি

ধরন: ফ্রিজিশিয়ান

মহিষ

-

-

ছাগল

৬৭৫ টি

ধরন: ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট

ভেড়া

২৯০ টি

 

হাঁস মুরগির সরকারী খামার

নাই

 

হাঁস মুরগির বেসরকারী খামার

১৯ টি

 

হাঁস, মুরগির

১১ টি

 

 

 

 

        তথ্য সূত্র : ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর

 সারণি-১০: ২০১৫-২০২১  সময়ে বাগুলাট ইউনিয়নের প্রাণীসম্পদ উন্নয়নের পরিকল্পনা

গৃহীতব্য কার্যক্রম

কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্য

কে কাজটি করবে

অর্থের উৎস

কোন অর্থ বছের

করা হবে

সম্ভাব্য খরচ

(লক্ষ টাকায়)

পশুপাখি পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ

পশু পাখি সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে টেকসই পরিবেশ গঠন

প্রাণি সম্পদ বিভাগ

প্রাণি সম্পদ বিভাগ

(২০১৫-২০২১)

(প্রত্যেক ওয়ার্ডে ১টি করে প্রশিক্ষণ)

.৫০

কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ

মানসম্মত প্রজনন প্রচলনে উৎসাহিত করা

প্রাণি সম্পদ বিভাগ

প্রাণি সম্পদ বিভাগ

  (২০১৫-২০২১)

 

.৫০

প্রত্যেক গ্রামে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা

প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা

প্রাণি সম্পদ বিভাগ

প্রাণি সম্পদ বিভাগ

   (২০১৫-২০২১)

(নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচী পরিচালনা করা)

.৫০

পশুপাখির স্বাস্থ্য ও টিকাদান বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা

পশু-পাখি রক্ষনাবেক্ষন ব্যবস্থা গ্রহণ

প্রাণি সম্পদ বিভাগ

প্রাণি সম্পদ বিভাগ

     (২০১৫-২০২১)

প্রয়োজন মতো

.৫০

খামার স্থাপনে প্রশিক্ষণ প্রদান

আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি

প্রাণি সম্পদ বিভাগ ও এনজিও

প্রাণি সম্পদ বিভাগ ও এনজিও

    (২০১৫-২০২১)

(প্রত্যেক ওয়ার্ডে ১টি করে)

.৫০

খামারী সমাবেশ

খামারীদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করা

প্রাণি সম্পদ বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদ

সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মৎস্য বিভাগ

    (২০১৫-২০২১)

প্রত্যেক বছরে ১টি করে

.৫০

মোট

 

 

 

 

৩.০০( লক্ষ)

চ. মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন:

মৎস্য সম্পদ আমাদের পুষ্টি  চাহিদা এবং জনগণের কর্মসংস্থানে ভূমিকা পালন করে থাকে। এলাকার মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মৎস্য সম্পদের মোট উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের পুষ্টি চাহিদা মিটানো। ইউনিয়নে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৎস্যচাষীদের মাঝে ঋণ বিতরণ, পুকুর পরিদর্শনপূর্বক সংস্কারের জন্য পরামর্শ প্রদান, গুণগত ও মানসম্মত পোনা উৎপাদনের জন্য হ্যাচারী ও নার্সারী পরিদর্শন ও পরামর্শ প্রদান, মৎস্য আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাট, বাজার, প্রতিবেশ উপযোগী মৎস্য আড়ত, হ্যাচারী ও নার্সারী উন্নয়ন ও পরামর্শ প্রদানসহ উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তিকরণের মাধ্যমে মৎস্যজীবিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি কার্যক্রম নিয়মিত  বাস্তবায়িত হচ্ছে। আয়বর্ধনকারী মৎস্য প্রজাতি সংরক্ষন ও সম্প্রসারণে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষে উৎসাহিত করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান, এছাড়া প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সনাক্তকরণ ও সংরক্ষন, মাছের উন্নত পোনা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, মাছের রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য সহায়তা প্রদান এবং প্লাবন ভূমিতে অবকাঠামো তৈরীর মাধ্যমে মৌসুমী মাছচাষের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রাকৃতিক জলাভূমিতে মাছের নিরাপত্তা প্রদান এ সেক্টর উন্নয়নের মূল লক্ষ্য।

সারণি-১১:   ইউনিয়নের মৎস্য সম্পদেরবর্তমান অবন্থা

তথ্যাদি

সংখ্যা

মন্তব্য

মোট পুকুর

৪৩৫ টি

 

খাস পুকুর

২ টি

 

সরকারি জলমহাল

৩ টি

 

বাৎসরিক মাছের চাহিদা

৬১১.৩ মেট্রিক টন

 

হ্যাচারী

৫০টি

মৎস্য উৎপাদন: ৩৬৬.২ মেট্রিক টন

মৎস্যজীবি

১৭৫ জন

ঘাটতি: ২৫৫.১ মেট্রিক টন

মৎস্যজীবিপরিবার

৪৩৫ টি

 

তথ্য সূত্র : ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর

 

সারণি-১২: ২০১৫-২০২১  সময়ে  বাগুলাট ইউনিয়নের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের পরিকল্পনা

গৃহীতব্য কার্যক্রম

কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্য

কে কাজটি করবে

অর্থের উৎস

কোন অর্থ বছের

করা হবে

সম্ভাব্য খরচ

(লক্ষ টাকায়)

চাষী পর্যায়ে পোনা তৈরী প্রশিক্ষণ

পোনা বা রেনুর সংখ্যা বৃদ্ধি

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও মৎস্য বিভাগ

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ/মৎস্য বিভাগ

   ২০১৫-২০২১

(প্রতি ওয়ার্ডে ১টি করে প্রশিক্ষণ)

.৫০

 মৌসুমী মাছচাষীদের প্রশিক্ষণ

মাছ চাষীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা

মৎস বিভাগ

মৎস বিভাগ

  ২০১৫-২০২১

প্রতি বছর ১টি করে)

.৫০

মাছচাষী সমাবেশ ও সচেতনতা বৃদ্ধি

চাষীদের উৎসাহিত ও অনুপ্রানিত করা

মৎস বিভাগ

মৎস বিভাগ

  ২০১৫-২০২১

প্রতি বছর ১টি করে)

.৫০

একই পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ

দেশী মাছ চাষে উৎসাহিত করা

মৎস বিভাগ

মৎস বিভাগ

   ২০১৫-২০২১

.৫০

পতীত জলাশয়গুলোতে মাছ চাষ

দেশী মাছ চাষে উৎসাহিত করা

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও মৎস বিভাগ

মৎস বিভাগ

   ২০১৫-২০২১

.৫০

মোট

 

 

 

 

২.৫০ (লক্ষ)

 

ছ. সংস্কৃতি ও খেলাধুলা

খেলাধুলা মানুষের শারিরীক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি জাতির নৈতিক চরিত্র, শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং শৃঙ্খলতার উন্নয়নে ক্রীড়াকে অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ সুশৃঙ্খল মানব সম্পদ গঠনে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। বাঙ্গালী সংস্কৃতির লালন এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ধারণ করে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন করা প্রয়োজন। এ ছাড়া তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন হতে সমাজকে মুক্ত রাখা চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয় হয়ে পড়েছে। ক্রীড়া উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে কার্যকরী ও দক্ষভাবে কাজে লাগাতে হবে।

সারণি-১৩:ইউনিয়নের বিষয়কসংস্কৃতি ও খেলাধুলাবর্তমান অবন্থা

তথ্যাদি

কতটি

আয়োজক

 

ফুটবল খেলা

৬ টি

ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক

ক্রিকেট খেলা

৭ টি

ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক

ব্যাডমিন্টন খেলা

০৪ টি

ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক

ভলিবল খেলা

৫ টি

ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক

খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন

৬ টি

 

মিলাদ মাহফিল

৬৮ টি

প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক

মেলা

৮ টি

সংগঠন ভিত্তিক

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

৪ টি

সংগঠন ভিত্তিক

নাটক

৩ টি

সংগঠন ভিত্তিক

যাত্রা

৩ টি

সংগঠন ভিত্তিক

গণ-গ্রন্থাগার

১টি

ইউনিয়ন পরিষদকেন্দ্রিক পরিচালিত

কমিউনিটি হল

২ টি

ব্যক্তি কেন্দ্রিক পরিচালিত

তথ্য সূত্র : ইউনিয়ন পরিষদ

এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নের লক্ষ্যে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যসমূহ নির্ধারণ করা হয়েছেঃ

·        আবহমান বাংলার ঐতিহ্য সমৃদ্ধ খেলাধুলার উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান,

·        খেলাধুলার অবকাঠামো যেমন- বিদ্যালয়ের খেলাধুলার উন্নয়নে সহায়তা প্রদান, 

·        মেয়েদের উপযোগী খেলাধুলার ব্যবস্থা করা,

·        খেলাধুলায় পারদর্শী এবং সম্ভাবনাময় খেলোয়ার এর তালিকা সংরক্ষন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ের উদ্যোগের সাথে সমন্বয় সাধন,

·        বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা,

·        যথাযোগ্য মর্যাদায় ও কার্যকরভাবে জাতীয় দিবস পালনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে উৎসাহিত করা,

·        গ্রাম এলাকায় গণপাঠাগারসমূহের উন্নয়ন এবং পাঠাগার ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করা।

 

খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ যুব সমাজের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়, এতে করে যুব সমাজের শরীর গঠন ও মানসিক বিকাশ ঘটে। আমাদের যুব সমাজ বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগছে। তাদের সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন প্রয়োজন।      

সারণি-১৪:  বাগুলাট ইউনিয়নের খেলাধূলা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উন্নয়ন পরিকল্পনা: ২০১৫-২০২১

 

গৃহীতব্য কার্যক্রম

কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্য

কে কাজটি করবে

অর্থের উৎস

কোন অর্থ বছরে করা হবে

সম্ভাব্য খরচ (লক্ষ টাকায়)

খেলাধূলার উপকরণ বিতরণ

 

 

খেলাধূলায় উৎসাহ প্রদানের জন্য

ইউনিয়ন পরিষদ

ইউনিয়ন পরিষদ, উদ্যোগী নাগরিক ও এলজিএসপি

  ২০১৫-২০২১

 

 

২.০০

খেলাধূলার আয়োজন ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান

 

 

খেলাধূলার মান উন্নয়ন ও খেলোয়াড় তৈরীর জন্য

ইউনিয়ন পরিষদ, উদ্যোগী নাগরিক , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাব

ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ,  এবং উদ্যোগী নাগরিক

  ২২০১৫-২০২১

 

১.২৫

বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উপকরন প্রদান

সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে

অংশগ্রহনের জন্য সুযোগ সৃষ্টি ও উৎসাহিত করা

ইউনিয়ন পরিষদ, উদ্যোগী নাগরিক , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও

ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ,  এবং উদ্যোগী নাগরিক

  ২০১৫-২০২১

 

.৫০

সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠানের আয়োজন ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান

 

সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিকশিত করা

ইউনিয়ন পরিষদ, উদ্যোগী নাগরিক , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাব/সংগঠন

ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ,  এবং উদ্যোগী নাগরিক

  ২০১৫-২০২১

 

.২৫

                                                                                                              মোট

৪,০০

(লক্ষ টাকা)

 

জ. পরিবেশ উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপন

পরিবেশ উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, জনগণ যাতে স্বাচ্ছন্দে ও নিরাপদে জীবনধারণ করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া। বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের কুফল হিসেবে বায়ু, পানি ও জমি ক্রমেই দুষিত হচ্ছে। এ ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট, বাঁধ তৈরীর ফলশ্রুতিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ইউনিয়ন পরিষদের যে কোন প্রকল্প গ্রহণে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে না এ ধরনের নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে। এলাকার ইট ভাটা, যানবাহন হতে ক্ষতিকারক ধোয়া নির্গত হওয়া থেকে মুক্ত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ও রাস্তার দু’’ধারে গড়ে তোলা হয়েছে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম। এছাড়াও বর্তমানে ফসলের জমির আইল, পতীত জমি, পুকুর পাড়, এবং বসত বাড়ীর আশে পাশে আম, জাম, কাঁঠাল, পেঁয়ারাসহ বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষ, শিশু, মেহগনি, কড়াই, মিনজুরি, বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির বনজ বৃক্ষ এবং নিম, বহেড়া, অর্জুন, তেতুঁলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ঔষধি গাছ এবং এলাকা ব্যাপক বাঁশঝাড় রয়েছে।

সারণি-১৪:ইউনিয়নের পরিবেশ উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপনেরবর্তমান অবন্থা

তথ্যাদি

কয়টি/পরিমান

মন্তব্য

বন

৩০ হেক্টর

 

পানি

সন্তোষজনক

 

নদী, খাল ও অন্যান্য পরিবেশ

খাল ৩ টি ১. পানহাটা খাল ২. পানাম হতে পানহাটা খাল ৩. উত্তর কাজী কসবা হতে রামপাল কলেজ খাল

 

খাদ্য নিরাপত্তা,

সন্তোষজনক

 

কৃষি

সন্তোষজনক

 

নিচু ভূমি

২৫৪ হেক্টর

 

পরিবেশ অবক্ষয় পরি:

সন্তোষজনক

 

মৎস ধরা সমূহের অবস্থা

জেলে ৭ জন

 

তথ্য সূত্র : ইউনিয়ন পরিষদ

      সারণি-১৫: ২০১৫-২০২১ সময়ে বাগুলাট  ইউনিয়নের পরিবেশ উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপনের উন্নয়ন পরিকল্পনা

গৃহীতব্য কার্যক্রম

কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্য

কে কাজটি করবে

অর্থের উৎস

কোন অর্থ বছের

করা হবে

সম্ভাব্য খরচ

(লক্ষ টাকায়)

প্রত্যেক গ্রামে বৃক্ষরোপনে সচেতনমূলক সভা পরিচালনা

স্থানীয় জনগণকে বৃক্ষরোপনে উৎসাহিত করা

স্বেচছাসেবক ও বন বিভাগ

ইউনিয়ন পরিষদ, স্বেচ্ছাসেবক, জিও ও এনজিও

   ২০১৫-২০২১

(প্রত্যেক গ্রামে ১টি করে সভা হবে) ।

-

নার্সারী স্থাপনে প্রশিক্ষণ প্রদান

আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি

রন বিভাগ

বন বিভাগ

  ২০১৫-২০২১

১.২৫

অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বৃক্ষ রোপন

সবুজ এলাকা গড়ে উঠবে এবং আর্থিক লাভবান হবে

স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনগণ, ইউনিয়ন পরিষদ

বন বিভাগ ও স্থানীয় জনগ

  ২০১৫-২০২১

.২৫

ক্ষতিকর গাছ না লাগাতে সচেতনতা বৃদ্ধি

টেকসই পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করা

স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনগ ও ইউনিয়ন পরিষদ

বন বিভাগ ও স্থানীয় জনগ, ইউনিয়ন পরিষদ

 ২০১৫-২০২১

(চলমান)

.২৫

ফলজ, বনজ ও ঔষধী জাতের বৃক্ষরোপনে সচেতনতা বৃদ্ধি

সবুজ এলাকা গড়ে উঠবে এবং আর্থিক লাভবান হবে

স্বেচ্ছাসেবক, ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় জনগ

বন বিভাগ, স্থানীয় জনগ, ইউনিয়ন পরিষদ

   ২০১৫-২০২১

(চলমান)

.২৫

রাস্তা ও পতীত জমিতে বৃক্ষরোপনে উদ্বুদ্ধকরণ

অকেজো জমি কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া

স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনগণ,বন বিভাগ

বন বিভাগ, স্থানীয় জনগ, ইউনিয়ন পরিষদ

  ২০১৫-২০২১

(চলমান)

 

.২৫

উন্নত জাতের চারা / কলম তৈরী প্রশিক্ষণ

অধিক ফলন ফলানো

স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনগন, বন বিভাগ

স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনগন, বন বিভাগ

 ২০১৫-২০২১

(চলমান)

-

বিদ্যালয় ভিত্তিক  ফলজ, বনজ ও ঔষধী জাতের বৃক্ষরোপনে সচেতনতা বৃদ্ধি

সবুজ এলাকা গড়ে তোলা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সামাজিক কাজে উৎসাহিত করা

জন প্রতিনিধি  ও প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী

ইউনিয়ন পরিষদ ও জিও

 ২০১৫-২০২১

(চলমান)

-

মোট

 

 

 

 

১.২৫( লক্ষ)

 

ঝ. পারিবারিক বিরোধ নিরসন:

পারিবারিক বিরোধ আমাদের দেশে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। আমাদের দেশে সম্প্রতি নারী শিক্ষা, বিভিন্ন এনজিও গ্রুপে নারীর অংশগ্রহণ ও নারীর অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বেড়েছে। সেই সাথে সামাজিক সমস্যাও প্রকট আকার ধারণ করেছে। সামাজিকভাবে বিরোধগুলোকে মিমাংসা করা সম্ভব।

সারণি-১৬: ইউনিয়নের পারিবারিক বিরোধ অবন্থা

তথ্যাদি

সংখ্যা /শতকরা হার

মমত্মব্য

নারী শিক্ষা

শতকরা ৭০%

বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।

বিভিন্ন এনজিও গ্রুপে নারীর অংশগ্রহণ

শতকরা ৩০ %

 

নারীর অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ

শততরা ২০%

 

পারিবারিক সহিংসতা

শততরা ৫%

পারিবারিক সহিংসতা অত্র ইউনিয়নে নেই।

যৌতুক

শতকরা ১০%

 

দেনমোহর

শতকরা ১০%

দেনমোহরের মাধ্যমে বিবাহ কার্যক্রম চলছে।

বিয়ের বয়স

শতকরা ৯০%

সরকারি নিয়মানুযায়ী

শিশষু অধিকার ও শিশু স্বাস্থ্য

শতকরা ৬০%

শিশু অধিকার ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা হচ্ছে।

শিশু নির্যাতন ও শিশু শ্রম

শতকরা ১০%

অত্র ইউনিয়নে শিশু নির্যাতন ও শিশু শ্রম নেই।

তথ্য সূত্র : ইউনিয়ন পরিষদ

 

 

 

সারণি-১৭: ২০১৫-২০২১ সময়ে বাগুলাট ইউনিয়নের পারিবারিক বিরোধ নিরসনের উন্নয়ন পরিকল্পনা

গৃহীতব্য কার্যক্রম

কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্য

কে কাজটি করবে

অর্থের উৎস

কোন অর্থ বছের

করা হবে

সম্ভাব্য খরচ

(লক্ষ টাকায়)

গ্রাম আদালত ও সালিশী পরিষদকে কার্যকর করা

 এলকার বিরোধ মিমাংসা মিটানো

ইউনিয়ন পরিষদ

ইউনিয়ন পরিষদ

   ২০১৫-২০২১ (প্রয়োজন মত)

.৫০লক্ষ

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি

বাল্য বিবাহ রোধ

ইউনিয়ন পরিষদ ও এন জিও

ইউনিয়ন পরিষদ ও এনজিও

 ২০১৫-২০২১  (প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচারাভিযান)

.৫০লক্ষ

সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা

নারীদের ক্ষমতায়িত করা

 সেচ্ছাসেবক ও বে সরকারি সংস্থা

ইউনিয়ন পরিষদ ও এনজিও

চলমান প্রক্রিয়া

.৫০লক্ষ

১৮ বছরের নীচে এমন মেয়েদের ১৮ বছর বলে সার্টিফিকেট না দেওয়া

 মেয়েদের সঠিক বয়সে স্বীকৃতি দেওয়া

 ইউনিয়ন পরিষদ

ইউনিয়ন পরিষদ

চলমান প্রক্রিয়া

-

 

 

 

 

 

১.৫( লক্ষ)

 

৯. ইউনিয়নের যোগাযোগ/অবকাঠামো ব্যবস্থা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা:

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুচনা এবং স্থায়ীত্বের পূর্বশর্ত হচ্ছে একটি কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা। কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক সুবিধা এবং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করে, ব্যয় হ্রাস করে, রপ্তানি বৃদ্ধি করে। সরকার পরিবহণ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ সড়ক ও সড়ক পরিবহণ বিভিন্ন কারণে যেমন- গতি, নমনীয়তা এবং বাজার গম্যতার কারণে, পরিবহণ ব্যবস্থার প্রধান উপায়ে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সড়ক নেটওয়ার্ক গঠিত হয়েছে জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, থানা সংযোগ সড়ক, প্রবৃদ্ধি কেন্দ্র সংযোগ সড়ক, ইউনিয়ন সংযোগ সড়ক এবং গ্রামীণ সড়ক-এর সমন্বয়ে। ইউনিয়নের উন্নয়ন এবং আন্ত:ওয়ার্ড যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট, বাঁধ নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজন। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান অবকাঠামোসমূহ ব্যবহার উপযোগী রাখার জন্য প্রয়োজনীয় মেরামত ও সংস্কার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নতুন অবকাঠামো তৈরী।

সারণি-১৮:ইউনিয়নের অবকাঠমো বিষয়ক তথ্যাদি

তথ্যাদি

 

 রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য (কি.মি.)

কালভার্ট/

ব্রীজ

ইউড্রেন নির্মাণ

প্যারাসাইড/

গাইডওয়াল নির্মাণ

ইউনিয়ন পাকা রাস্তা

 

২০ কি.মি.

৩২ টি

৩০ টি

১৮টি

আধাপাকা রাস্তা

(HBB)

 

১০ কি.মি.

 

 

 

কাঁচা রাস্তা

 

২৫ কি.মি.

 

 

 

মোট =

 

 ৫৫  কি.মি.

৩২টি

৩০ টি

১৮টি

তথ্য সূত্র : ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা এলজিইডি